সোনাইল গাছের আধো আলো আধো ছায়ার নীচে বসে বাহারি মানুষের আনাগোনা খুব ভালভাবে উপভোগ করছিল পড়ন্ত বেলা শেষে বৈশাখি মেলায়। ভীড় থেকে একটু দুরে নিরিবিলি পরিবেশে একা একা টিপটপ শব্দে বাদাম খাওয়া হচ্ছিল বেশ মজা করে। হঠাৎ সুজনের চোখ জোড়া আটকে গেল। রিকশায় থাকা হাতে হাত রাখা হলুদ বরণ এক জোড়া প্রানবন্ত অর্পূব মুখের উৎচ্ছল হাসির ঝলকে। স্মৃতির প্রজাপ্রতি গুলো ডানা মেলতে শুরু করল এক এক করে। মুর্হূতে সুজন হারিয়ে গেল ফেলে আসা সুন্দর দিন গুলোতে।
দুই.
আয়ের সল্পতার কারনে মন চাইলেও প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া কিংবা বিশেষ দিনে কিছু উপহার দেওয়া হত না সুজনের। সুজানা টিউশনি করে টাকা জমিয়ে প্রায় সুজনকে উপহার দিত। সুজানা কষ্ট পাবে আর তাই সুজন অনিচ্ছা সত্ত্বেও নিত তার ভালবাসায় জড়ানো উপহার সামগ্রী হাসি মুখে। সময় পরিবর্তন হয়েছে। উপহার দেওয়া, ভালো রেস্টুরেন্টে খাওয়া কিংবা কোথাও ঘুরতে যাওয়ার মতো দারুন সক্ষমতা হয়েছে এখন সুজনের। এরপর ও সুজন কিছুই করতে পারে না সুজানার জন্য। অদৃশ্য এক দেয়াল বাধাঁ হয়ে আছে দু’জনের অকৃত্রিম ভালবাসার মাঝে।
তিন.
কাল বৈশাখি ঝড়ের মতো হঠাৎ করে কিছু বুঝে উঠার পূর্বে সুজানার বিয়ে হয়ে যায় এক সরকারি কর্মকতার সাথে। সুজানার পরিবার চাইনি সদ্য পাশ হওয়া একজন বেকার ছেলের সাথে তার বিয়ে হোক। পরিবারের অত্যধিক চাপের কারনে ভাললাগার ভালবাসার প্রিয় মানুষটির মমতাময় মধুর বন্ধন ছিন্ন করে অজানা অচেনা বাহুডোরে সুজানা আবদ্ধ হয়েছিল সেদিন। যে সুখের আশায় তড়িঘড়ি করে বিয়ে দিয়েছিল তার পরিবার সেই সুখ পাখিটির ছোয়াঁ অধরাই থেকে গেল তার জীবনে। মনের স্খুই যে আসল সুখ যা বুঝতে পারেনি তার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন। যে সুখ টাকা-পয়সা দিয়ে কখনো পাওয়া যায় না, তা পাওয়ার জন্য যতই চেষ্টা করা হোক না কেন !
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।